উখিয়া নিউজ ডটকম
প্রকাশিত: ২৮/০৫/২০২৫ ৮:১৮ এএম

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণসামগ্রী অবৈধভাবে মজুদ ও পাচারের অভিযোগে চার ব্যক্তিকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৭ মে ২০২৫) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বালুখালী ও কুতুপালং এলাকার বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হোসেন চৌধুরী এ জরিমানা করেন।

সূত্র জানায়, রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (WFP)-এর সরবরাহকৃত চাল, ডাল, তেল, চিনি, সাবানসহ বিভিন্ন পণ্য স্থানীয় কিছু ব্যক্তি নিজেদের গুদামে মজুদ করে রাখে, যা বিক্রয়যোগ্য নয়।

এসব পণ্য সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমারে পাচারেরও পরিকল্পনা ছিল বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

জরিমানাপ্রাপ্ত উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালি ছড়ার মফিদুল আলম (৩৫) এর গুদাম থেকে জব্দ করা হয় চিনি ১৬১ বস্তা, চাল ৩৪ বস্তা, ডাল ১৪ বস্তা ও তেল ১৮০ লিটার। রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং দক্ষিণ পাড়ার আলী হোসেন এর গুদাম থেকে পাওয়া যায় চাল ৮৩ বস্তা, চিনি ৫১ বস্তা, ডাল ৪ বস্তা, তেল ৩২৭ লিটার, সাবান ২৮৮ পিস ও পুষ্টি খাদ্য ৬ বস্তা।

পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ইউনুছ আলী, গুদাম থেকে চাল ১৪২ বস্তা, চিনি ৬২ বস্তা ও তেল ৮০০ লিটার।

রাজাপালং ইউনিয়নের দরগাহবিল ইসমাইল হোসেনের গুদাম থেকে পাওয়া যায় চিনি ১৮ বস্তা (৫০ কেজি করে), চাল ৮০ বস্তা, তেল ৫০০ লিটার, লাক্স সাবান ১০০ পিস এবং হলুদ ৪ বস্তা।

অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৫৬-এর ৬ ধারা অনুযায়ী চারজনকে প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে মোট চার লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী জানান, উদ্ধার ত্রাণসামগ্রী শুধুমাত্র রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য বরাদ্দকৃত।

অবৈধভাবে এ পণ্যসামগ্রী মজুদ ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাঠকের মতামত

‘সেন্টমার্টিন রক্ষায় মাস্টারপ্ল্যানের চিন্তাভাবনা চলছে’

সেন্টমার্টিনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরে আসতে শুরু করেছে। দ্বীপটি নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যানের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। জানিয়েছেন, ...